রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব – ডা.মাজহার বেলকুচিতে বিএনপি পক্ষ থেকে শীতের কম্বল বিতরণ পাঁচবিবিতে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট সোহাগপুর মানব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ নাসিরনগরে সুসকস এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যুবক চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ে ম্যাচ গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  ঘোড়াশাল পৌরসভার ১ এবং ২ নং ওয়ার্ডে আলহাজ্ব ফজলুল কবির জুয়েলের শীতবস্ত্র বিতরণ  চকরিয়ায় ভূমিদস্যুর কবল থেকে জায়গা উদ্ধারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি: হানিফ সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৮৬ বার পঠিত
প্রকাশিত : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ

প্রায় দুই দশক আগে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশ জুড়ে তুমুল পরিচিতি পেয়েছিলেন সংগীতশিল্পী আকবর। সংক্ষিপ্ত জীবনের জার্নি শেষ করে রবিবার (১৩) দুপুরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।

আকবরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনে। সংগীতের পাশাপাশি নাটক-সিনেমার তারকারাও শোক জানাচ্ছেন এই গায়কের জন্য। তবে আকবরের জন্য হানিফ সংকেতের কষ্টটা যে সবার চেয়ে একটু বেশিই! কারণ তারই হাত ধরে ‘ইত্যাদি’তে এসেছিলেন আকবর। হানিফ সংকেত আকবরকে খুঁজে বের করেছিলেন, দিয়েছিলেন তার অনুষ্ঠানে গান করার সুযোগ। যেখান থেকে আকবরের ‘গায়ক আকবর’ হয়ে ওঠা।

তিনি লিখেছেন, “আজ দুপুরে আকবরের স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে অঝোরে কাঁদছিলো, বললো- ‘আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গ্যাছে’। ফোনটা যখন পাই তখন আমি রংপুরে পরবর্তী ইত্যাদির জন্য একটি প্রতিবেদন ধারণ করছিলাম। ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম আকবর আর নেই। কারণ বেশ কিছুদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিলো না। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিলো। নিয়মিত খোঁজ রাখছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিলো। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস-সবকিছু মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ছিলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে জীবনের কঠিন সত্য মৃত্যু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।”

হানিফ সংকেতের ভাষায়, ‘তবে এটুকু সান্ত্বনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আকবরের চিকিৎসার কোন ত্রুটি হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিলেন। এছাড়াও অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে আকবর
স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে আকবর

সবশেষ এই জনপ্রিয় উপস্থাপক বলেন, ‘আকবরের সংগীত জীবনের উত্তরণের পথটা সহজ ছিলো না। ২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে অনেকটা একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আকবর খুব বেশি গান করেনি। তবে যে কটা করেছে তা সব প্রজন্মের শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে গ্যাছে-যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক দিন। আকবরের এই অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আকবরের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

দুই বছর ধরে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনি, রক্তের প্রদাহসহ আরও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন আকবর। দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় তার শরীরে পানি জমে ডান পা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সপ্তাহ দুই আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই পা কেটে ফেলা হয়। পা কাটার পর তার কিডনি ও লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ নভেম্বর দুপুরে তাকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৯ নভেম্বর ভোরে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর ফিরতে পারলেন না এই গায়ক।

উল্লেখ্য, দেড় যুগ আগে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে তুমুল হইচই ফেলে দেন তখনকার পেশায় রিকশাচালক আকবর। তবে সেই গান বদলে দেয় তার জীবন। রাস্তায় রিকশায় প্যাডেল মারা ছেড়ে গানে মনোনিবেশ করেন তিনি। এরপর ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ শিরোনামে ইত্যাদির জন্য মৌলিক গান করেন তিনি। এটিও পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সেই থেকে নতুন নতুন গান প্রকাশের পাশাপাশি দেশে-বিদেশের মঞ্চেও নিয়মিত গাইতে থাকেন আকবর।

সংবাদটি শেয়ার করুন :


এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর