সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
চকরিয়া দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন চকরিয়া নব প্রজন্ম নুরানী মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ২৪ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন নরসিংদীতে পাওয়ারলুম মালিককে পিটিয়ে হত্যা, আটক-৪ কালীগঞ্জে শুভ বড়দিন পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসী কর্তৃক মসজিদে গুলি মুসুল্লিদের প্রতিবাদ চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ময়মনসিংহের পাগলা থানার বলদী খাঁ পাড়ায় নিজ অর্থায়নে রাস্তা পুণঃনির্মান করছেন বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা কাপাসিয়ায় বিজয় দিবসে জামায়াতের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান  কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) র‌্যালির মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন কালীগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

৫০ টাকার নিচে বাজারে কোন সবজি নেই

D News 24 ডেস্ক : / ১২৮ বার পঠিত
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

জাকারিয়া আল মামুন

 

পেঁপে ছাড়া বাজারে অন্য প্রায় সব সবজিরই কেজি এখন ৫০ টাকার ওপরে। শীত আসার আগ পর্যন্ত এ দাম এমন থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামে সবজি কিনে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন,পাইকারি বাজারে বেশি দাম যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। দাম কমতে শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

৫০ টাকার নিচে সবজি নেই

মৌসুম শেষের দিকে তাই বর্তমান বাজার একটু বাড়তি যাচ্ছে, বলছেন বিক্রেতারা

কালিগঞ্জ, জামালপুর, পলাশ সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বাঁধা কপি, ফুলকপি (ছোট) ৫০ টাকা পিস, টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা কেজি, ঢেড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ঝিঙ্গার প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া গেলে একমাত্র পেঁপেই। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

শীত আসার আগ পর্যন্ত এ দাম এমন থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। 

গাজীপুর কাঁচা বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মুক্তাদির হোসেন। বিক্রেতার সাথে সবজির দামাদামি করার সময় তার চোখে-মুখে এক ধরনের অসহায়ত্ব ফুটে উঠছিল। কারণ বাজারের এই ঊর্ধ্বগতির সাথে তিনি পেরে উঠছেন না।

কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই বাজারে কম টাকার মধ্যে কিছুই কেনা যায় না। এমন কোনো জিনিস নেই বাজারে যার দাম বাড়তি না। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় ভার বহন করে টিকে থাকাই কঠিন। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। যেটার দাম করি সেটাই ৫০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া শিম, শসা তো ১০০ আর টমেটো ১৪০ টাকা। বাজারে গরিবের সবজি বলতে শুধু পেঁপে আছে, যার দাম ৩০/৪০ টাকা। তাহলে বলেন আমরা খাবো কী?

সবজি বিক্রেতা  ফরিদ বলছেন, আসলেই বাজার বাড়তি যাচ্ছে।  পাইকারি বাজারেও প্রতিটি জিনিস আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর আমাদের তা পরিবহনে করে এনে শ্রমিক দিয়ে নামাতে হয়। ফলে এর দাম আরও বেশি পড়ে যায়, এছাড়া পাইকারি বাজার, এই বাজার সব মিলিয়ে একটা লাইন ফি দিতে হয়। সব মিলিয়ে ক্রেতা পর্যায়ে আসতে একটা পণ্যের দাম বেড়ে যায়। মৌসুম শেষের দিকে তাই বর্তমান বাজার একটু বাড়তি যাচ্ছে।

নরসিংদীর পলাশ এলাকার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সামাদ মৃধা বলেন, আগের ফলনের বেশিরভাগ ফসলের শেষ চালানের মাল এগুলো। শীত আসলে সব নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। তাই সবজির দাম আসতে শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নতুন সবজি আসার পর বাজার কমতে ২/৩ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন :


এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর