নিজস্ব সংবাদদাতা : আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করা তিন প্রার্থীকে শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করেছে বলে শোকজ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এ এইচ এম কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত অভিন্ন পৃথক তিনটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত তিন প্রার্থীকে। নোটিশ প্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আশরাফী মেহেদী হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শর্মিলী দাস। তাঁরা তিনজনই গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান গ্রুপের সমর্থিত প্রার্থী বলে জানা গেছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থী (মনোনয়নপত্র দাখিলকারী) হিসেবে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পূর্বেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহরসহ শোভাযাত্রা করেছেন মর্মে ভিডিও চিত্রসহ তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও জনসভায় গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৫(১) এবং ২২(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এঅবস্থায় কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য : কালীগঞ্জ উপজেলার তিনটি পদের বিপরীতে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের চেয়াররম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যানে পদের প্রার্থীরা হলেন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, আশরাফী মেহেদী হাসান এবং মো. হাবিবুর রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, মোজাম্মেল হক, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, এম এ সাদ্দাম হোসেন, আবু জাফর মুহাম্মদ শামসুল হুদা এবং মোঃ ফারুক ভূঁঞা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, জুয়েনা আহমেদ, শর্মিলী দাস এবং শর্মিলা রুথ রোজারিও। কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬২ জন। কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভার এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ২৪ জন এবং হিজড়া ভোটার ২ জন। মোট ৯০টি ভোট কেন্দ্রের ৪৯৯টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু হবে। ভোট হবে আগামী ৮ মে।