জাকারিয়া আল মামুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা সবজি ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যার প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া ক্রেতাদের উপর। খুরচা ব্যবসায়ীরা বলছেন অনাবৃষ্টির কারনে চরম তাপমাত্রা বেড়ে যাওযায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ না থাকায়,( ঘনঘন লোডশেডিং হাওয়ার জন্য) পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহের না করতে পারায়,অতিরিক্ত খরার কারনে সবজি উৎপাদন কমার ফলে সবজির দাম বেড়েছে। অপর তেল ও চিনির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
উপজেলা সদরের কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা পণ্যের আমদানী না থাকায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিলো ৫০ টাকা, চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের মূল্য ছিলো ৫০ টাকা , চলতি সপ্তাহে ৬০টাকা। গত সপ্তাহে শশার মূল্য ছিলো ৪০ টাকা , চলতি সপ্তাহে ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে আদার মূল্য ছিলো প্রতিকেজি ১০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ১৬০ টাকা, গত সপ্তাহে রসুনের মূল্য ছিলো প্রতিকেজি ১৬০টাকা, চলতি সপ্তাহে ১৭০টাকা, গত সপ্তাহে টমেটো ছিলো ৩০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা, পটল ছিলো ৪০টাকা, চলতি সপ্তাহে ৮০ টাকা, গত সপ্তাহে পেঁপে ছিলো ৩০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৫০টাকা, গত সপ্তাহে কলা ছিলো ২০টাকা হালি, চলতি সপ্তাহে ৩০টাকা হালি, আলু গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ছিলো ৩০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৩৫টাকা, গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিলো ১০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ১৬০ টাকা। এদিকে চিনি গত সপ্তাহে ছিলো ১২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ১৩০ টাকা, পামওয়েল তেল ছিলো প্রতি লিটার ১৩৮ টাকা, বর্তমানে ১৫০টাকা, সিটি তেল প্রতিলিটার ছিলো ১৫০ টাকা, বর্তমানে ১৭০ টাকা, সোয়াবিন তৈল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা বর্তমান বাজার ২০৮ টাকা,প্রতি লিটারে বোতল ছিলো ১৮৭ টাকা, বর্তমানে ২০৫ টাকা, জিরা প্রতিকেজি ছিলো ৮০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে ১০০০ টাকা। এভাবেই হুহু করে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের
অনেকে অভিযোগ করছেন, এই উপজেলার উৎপাদিত কাঁচাপণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন না হওযায় , সময় মতো বৃষ্টি না-হওয়ার কারনে অতিরিক্ত খরার কারনে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে, এই কারনে আকাশ চুম্বী হয়ে গেছে সবজির দাম। এতেন করে বিপাকে পড়ছে নিন্মবআায়ের ও মধ্যআয়ের ক্রেতারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারনে উৎপাদন কম হওয়ার ফলে বাজার দর উর্ধ্বগতি।
বাজার করতে আসা রাজমিস্ত্রী ইমান আলী আমাদের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন “ সারাদিন কাজ করে বেতন পাই ৫শ’ টাকা। একবার বাজার করতে আসলে সে টাকায় ব্যাগের কোনায় জোটে না। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। তাহলে আমরা কিভাবে সংসার চালাবো! দ্রব্যমূল্য বাড়ড়ার সাথে সাথে আমাদের আয় বাড়লে হয়তো পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।” কিন্ত আমাদের আয় বাড়েনি,তাই আমরা চিন্তার মধ্যে আছি প্রতিদিন,কি হবে,এটাই এখন চিন্তার বিষয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট জনাব উম্মে হাফছা নাদিয়া সাথে কথা বলে জানা যায় দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে গাজীপুর ডিসি স্যার এবং কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইওএনও স্যার নির্দেশনায় কালীগঞ্জে দ্রুত বাজার মনিটরিং করা হবে। যে সকল ব্যবসায়ী অধিক পণ্য মজুদ এবং অতিরিক্ত মূল্য রাখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।