কাজী মোঃ আব্দুল মান্নান : আসছে ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩য় মেয়াদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচনী সকল প্রক্রিয়া সমাপ্ত করছেন। ইতিমধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দেশব্যপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানা রকম হিসাব নিকাশ ও জল্পনা-কল্পনা। কাউন্সিলর প্রার্থী যেমন তেমন মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে কৌতুহল বেশী সিটিবাসী এবং দেশ বিদেশে।
ইতিমধ্যে সরকার দলীয় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুরের তুখোর রাজনীতিক গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লা খান। জাপার মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক সচিব ও মহানগর জাপার সভাপতি এম.এম নিয়াজ উদ্দিন। তাছাড়া গাজীপুর সিটির সাবেক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলমও মেয়র প্রার্থী হবেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়াও আরো অনেকেই মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং জমা দিয়েছে। তবে সিটি বাসীর আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন ওই তিন জন। অনেকেই মনে করছেন- আজমত উল্লা খান তুখোর রাজনীতিক হলেও তিনি এ নির্বাচনে আশানুরুপ ফলাফল বয়ে আনতে পারবেন কি-না তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করছেন- এ নির্বাচনের ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম একটি বড় ফ্যাক্টর। জাহাঙ্গীর আলম যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এবং তাকে কোন ভয়-ভীতি দেখানো না হয়, তবে সেই হয়তো আবারো মেয়র হবেন। আর যদি তিনি নির্বাচন করার সুযোগ না পান, তবে ভোটারদের একটি বিরাট অংশ জাপা প্রার্থী এম.এম নিয়াজ উদ্দিনের দিকে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আজমত উল্লা খান ও নিয়াজ উদ্দিনের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। তাতে কে মেয়র হবেন তা দুুদুল্যমান।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে তথা আজমত উল্লাকে মেয়র নির্বাচিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন- আওয়ামীলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী। অবশ্য তিনি নিজেও গাজীপুরের সংসদীয় আসন-১ (কালিয়াকৈর) থেকে এমপি প্রার্থী।
লক্ষ করা গেছে- গাজীপুর সিটি নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই তিনি তার নিজ অ ল কাশিমপুরে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ ভোটারদের নিয়ে মাসব্যাপী ইফতার মাহফিল করেছেন। চালিয়ে গেছেন নৌকাকে উপলক্ষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকল্প নিয়ে আলোচনা।
নূরে আলম সিদ্দিকী গাজীপুর সিটি এলাকার কাশিমপুরের ভবানীপুরের কৃতি সন্তান। অগাধ আস্থা ও বিশ^াস নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ তার নিকট যান সাহায্য সহযোগিতা ও উপকারের প্রত্যাশায়। তিনিও প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন সকলকে। কাউকে ফেরান না খালি হাতে।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন- পবিত্র রমজান বিদায় নিয়েছে। এবার জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন- শেখ হাসিনা দরিদ্র বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন। আজকে এ দেশে নৌকা ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে, দেশের উন্নয়ন ধারা থমকে যাবে। কাজেই আপনার আমার ও দেশের স্বার্থে নৌকার পক্ষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ইতিমধ্যে তিনি তার এলাকায় নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বিশাল কর্মী বাহিনী সৃষ্টি করেছেন। যারা প্রতিনিয়ত নূরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশনায় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভালবেসে বুকে টেনে নিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের। পূরণ করছেন তাদের অভাব অভিযোগও ।