নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীতে এক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিতে তার বিরুদ্ধে ভূয়া চেক ডিজ অর্নার মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী মোঃ তাইজুদ্দিন মোল্লা (৪৫) নামে এক প্রতারক।
গত ১৬ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার গাংকুল পাড়া এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে প্রতারক মো. তাইজুদ্দীন বাদী হয়ে একই উপজেলার চন্দনপুর এলাকার মৃত খন্দকার মোঃ গোলাম মোস্তফার ছেলে স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ সুজন খন্দকারের বিরুদ্ধে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
সূত্র: বেলাব সিআর মামলা নং ৪৬৮/২০২২। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন গত ০৯-০১-২০২২ ইং তারিখ রবিবার বিবাদী সুজন খন্দকার প্রত্যেক বোতল গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৬০ টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিবাদী কোন টাকা পয়সা না দেওয়ায় বাদী পক্ষের চাপে পড়ে গত১৪-০৬-২০২২ইং তারিখে AS100-B-9387310 নং চেকের মাধ্যমে লভ্যাংশসহ ৩৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন।পরে বিবাদীর একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলে তিনি তার জবাব না দেওয়ায় বাদী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এব্যাপারে বিবাদী সুজন খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলার বাদী মোঃ তাইজুদ্দিন মোল্লা আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার কাছ থেকে ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে টাকা নেয়াতো দূরের কথা তাকে আমি কোনসময় দেখিনি। তবে তার এক আত্মীয় সুদি মহাজন আসাদুজ্জামান আসাদের কাছ থেকে দুটি খালি চেকে স্বাক্ষর করে ব্যাবসায়ী প্রয়োজনে কিছু টাকা সুদে ধার নেই। পরবর্তীতে আসাদের সমুদয় টাকা সুদে আসলে পরিশোধ করলেও আসাদ আমার চেক দুটি ফেরত না দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত কিছুদিন পূর্বে আসাদ আমার নামে একটি চেক ডিজঅর্নার মামলা করলে আমি জামিনে মুক্ত হই। বর্তমানে আসাদ তার কাছে থাকা অপর চেকটি দিয়ে তার সুদি ব্যাবসায়ীক পার্টনার তার আত্মীয় তাইজুদ্দীনকে দিয়ে একটি ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা রুজু করে।
সুজন খন্দকারের কথার সত্যতা যাচাই করতে প্রতিবেদক দল, সুজন খন্দকারকে সাথে নিয়ে মামলার বাদী তাইজুদ্দীন মোল্লার সাথে মরজাল বাজারে সাক্ষাৎ করে। সেখানে গিয়ে সুজন খন্দকারের কাছ থেকে তার টাকা পাওনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যাবসায়িক লেনদেন হিসেবে টাকা পান বলে জানান। এসময় সুজন খন্দকারকে তার পাশাপাশি বসিয়ে এখানে সুজন খন্দকার আছে কিনা জানতে চাইলে মামলার বাদী তাইজুদ্দীন মোল্লা এখানে সুজন খন্দকার নেই বলে জানান। তাছাড়া তিনি সুজন খন্দকারের সাথে কি ব্যাবসা করেন কিংবা তার সরাসরি লেনদেন হয়েছে কিনা বা কোন ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এধরনের প্রশ্নে তিনি তা পরে জানাবেন বলে দ্রুত সেখান থেকে উঠে পালিয়ে যান।