শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কাপাসিয়ায় গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনে শীতলক্ষ্যার নদীর তীর ঘেষে তৈরি করা রানীগঞ্জ - তারাগঞ্জ বেড়িবাঁধের মুচি বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দিন দিন পীচের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে। যে কোন সময় রাস্তার অবশিষ্ট অংশ ধ্বসে গিয়ে মুচি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিচ্ছিন্ন হতে পারে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা । চরম ঝুঁকিতে রয়েছে মুচি বাড়ির লোকজন। এতে মুচি বাড়ি সহ জনমনে মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেষে তৈরি করা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মুচি বাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের চিত্র। স্থানীয় লোকজন জানায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে মুচি বাড়ি এলাকা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। মুচি বাড়ি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় খাড়া ও গভীরতা বেশি থাকায় অতি বৃষ্টিতে ভাঙ্গনের প্রবনতা এমনিতেই বেশি। গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধের মাটি ধ্বংসে পড়ে। পীচের নীচের মাটি সরে গিয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। অনেক আগে থেকেই এ এলাকায় ভাঙ্গনের শিকার হলেও এতোদিন কতৃপক্ষ ছিলো চরম উদাসীন। বিগত দিনে সংস্কারমূলক কোন কাজ না করায় আজ ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অবশিষ্ট রাস্তা দিয়ে কোন রকম যানবাহন চলাচল করছে। খুব দ্রুত সংস্কার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় সম্পূর্ণ রাস্তা ধ্বসে গিয়ে মুচি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে । তা না হলে বন্ধ হতে পারে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ হলে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে নিকটবর্তী তারাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তারাগঞ্জ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, এভারগ্রীন কিন্ডারগার্টেন, আব্দুর রাকিব খান স্কুল, ও একডালা আওয়ালিয়া আলিম মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা। সমস্যায় পড়বে তারাগঞ্জ বাজারের হাটুরে এবং কাপাসিয়া, কালীগঞ্জ, পলাশ ও নরসিংদীগামী হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত মুচি বাড়ি এলাকা অল্প অল্প করে ভেঙে গিয়ে এ বছর মারাত্মক আকার ধারণ করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। আজ সকালে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে একালাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।