জাকারিয়া আল মামুন, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিএনপির সাবেক দুই নেতার কোন্দল থামাতে গিয়ে কিল-ঘুষিতে জাহিদুল হক শ্যামল (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা কৃষক দলের সাবেক সেলিম সহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা। ঘটনাটি গতকাল (২ অক্টোবর বুধবার) রাতে স্থানীয় শফিকুল মার্কেটের আরাফাত হোটেলের সামনে ঘটেছে। নিহত জাইদুল হক শ্যামল মোক্তারপুর ইউনিয়নের মোক্তারপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। পারিবারিক ও স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, মোক্তারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক কামাল এর সাথে একই এলাকার মৃত মজনু সরকারের ছেলে সেলিম সরকার (৫০), শফিজুদ্দিনের ছেলে শামসু মিয়া (৫৫), আলাউদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৫০) ও আমিনের ছেলে হুমায়ুন কবির (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে শত্রুতা করে আসছিল। গতকাল বিকেলে তারা মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেগুনতলা বাজারে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির ব্যানারে একটি সভা শেষে নেতাকর্মীরা শফিকুল মার্কেটে অবস্থান করেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে শামসুল হক কামাল আলাউদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের কাছে সভার বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত সকলে উত্তেজিত হয়ে কামালের দিকে তেড়ে আসে। সে সময় পাশে একটি চা এর দোকানে বসে থাকা জাহিদুল ইসলাম শ্যামল এসে কথা কাটাকাটির বিষয় জানতে চাইলে সেলিম প্রত্যুত্তরে প্রথমে শ্যামলকে ঘুষি মারে একপর্যায়ে সেলিমসহ উপস্থিত শামসু মিয়া, মনির হোসেন ও হুমায়ুন কবির সহ বেশ কয়েকজন মিলে শ্যামলকে কিল-ঘুষি শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্যামল অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় ২(১০)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রবি উল্লাহ খাঁন বলেন, মারামারির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই শামসুল হক কামাল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ২(১০)২৪ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।