জাকারিয়া আল মামুন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার জামালপুর ইউনিয়নের উত্তর নারগানা কুমার পাড়া এলাকায় ধানক্ষেত থেকে এক যুবতীর (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা একটি মরদেহ ধান ক্ষেতের পাশে পানিতে ভাসতে দেখে থানায় জানালে পুলিশ উক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবতীর নাম সাকিরিন আক্তার (২০)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার নারগানা গ্রামের হারুন অর রশিদ এবং জোস্না বেগমের মেয়ে। নিহতের বাবা হারুন বলেন আমার মেয়েকে গত ৩\৪ বছর পূর্বে নরসিংদীর পলাশ থানার ওয়াবদাঘেট এলাকার সাইদুর রহমান সানীর(২৩) এর সাথে বিবাহ দেই। বিবাহের পর তাদের সংসারে সালমান (২.৫) নামে একটি ছেলে সন্তান হয়। ছেলে হওয়ার পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হলে মিলমিশ না হওয়ায় ৭\৮ মাস পূর্বে তাদের ডিভোর্স হয়। পরবর্তীতে সিলেটের হবিগঞ্জের ইকুয়ান (২৫) এর সহিত পুনরায় ২য় বিবাহ দেই। দ্বিতীয় বিবাহ দেওয়ার পর থেকেই ১ম স্বামী বিভিন রকম প্ররোচনা শুরু করে। গত ১মাস পূর্বে আমার বাড়িতে বেড়াইতে আসলে প্রায় সময় সানি বিরক্ত করত। গত ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ৬-৭ টার সময় সানির সাথে আমার মেয়ে ঢাকায় চলচ্চিত্রের মেঘ সাকিল (২৫) নামে এক লোকের সাথে দেখা করে। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ মিনিট এর সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যানায় ১ঘন্টার মধ্যেই সে বাসায় ফেরত আসবে। তার পর থেকে আর কোন খোঁজ না পেয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করি। নিহতের ছোট ভাই হৃদয় হোসেন বলে আমার বোনের হত্যাকারী সানি সহ জড়িতদের বিচার চাই। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। স্থানীয় গ্রামবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, যেভাবে যুবতীর মরদেহ পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে যুবতীর হত্যার পর তার মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও তাদের শাস্তির দাবি জানান। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রজিউল্লাহ খান জানান, সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা থানায় ফোন দিলে আমি সংগীয় ফোর্স সহ সাকিরিন আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।