জাকারিয়া আল মামুন, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দ। রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় কালীগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় নিহত পরিবার সদস্যদের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন নেতারা। অনুষ্ঠানে পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাঃ জাকারিয়া হোসাইন বিন কবির। জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা আমির ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরের নায়েবে আমির মোঃ খাইরুল হাসান, জেলা মজলিসের শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোখলেছুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আলহাজ্ব মো. আফতাব উদ্দিন, মাওলানা মো. বদিউজ্জামান, বক্তারপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা মো. মজিবুর রহমান এবং শহীদ পরিবারের স্বজনরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক এবং দৈনিক সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র শীবিরেরর সাবেক জেলা সভাপতি আঃ বাছেদ মোল্লা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা, কালীগঞ্জ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা আমির ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা স্বাধীন। দীর্ঘদিন পর ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়েছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসন মুক্ত হলো আমরা দেশবাসী তাদের কাছে আমরা ঋণী। বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনে যেসব ছাত্র নিহত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে আছে এবং সবসময় থাকবে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দেওপাড়া গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে মো. জাকারিয়া হোসেন জুয়েল (২৮) ও উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মো. তাজুল ইসলাম এর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন সিয়াম এর পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রত্যেককে দুই (০২) লাখ টাকা করে মোট চার (০৪) লাখ টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়। পরিশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের বিদেহী আত্মর মাগফিরাত কামনা কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করা হয়।