মুহাম্মদ মুছা মিয়া, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর মাধবদীতে শ্রীনগর সৈকাদি গ্রামের আঃ রশিদের বিরুদ্ধে নরসিংদী বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জমির মামলা থাকা সত্তে¡ও সেই জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ করেছেন জমির মালিক দাবীদার মোঃ নুরুল ইসলাম। এসময় মোঃ নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন তার দখলীয় জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে কিছু জমির মধ্যে রাতের আঁধারে বাশ দিয়ে বেড়া দিয়েছেন আঃ রশিদ।
বর্তমানে দখলে থাকা জমির মালিক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান ২০১১ইং সনে নলুয়া মৌজার আরএস ৭৩ নং খতিয়ানে ৬৮ ও ৬৯ নং দাগে ২০.৬৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করে গত কিছুদিন পূর্বে শ্রীনগর সৈকাদি গ্রামের আঃ রশিদ কোনো এক ওয়ারিশ থেকে এই জমি থেকে ক্রয় করে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ জমি দাবী করে। পরে স্থানীয় পাঁচদোনা ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সামাজিক বিচার সালিশে আঃ রশিদ আমার ক্রয়কৃত দাগে জমি পাবেনা সিদ্ধান্ত দেয়। সামাজিক বিচার সালিশের সিদ্ধান্ত না মেনে পরে আঃ রশিদ নরসিংদী বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে আঃ রশিদ রাতের আঁধারে আমার ভাউন্ডারি করা ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে ও ভিতরে কিছু জমিতে বাশ গেরে বেড়া দেয়। আমি মনে করি আঃ রশিদ আদালতের বিচারাধীন জমিতে জোর করে দখলে যাওয়ার চেষ্টা আদালত অবমাননার শামিল। এমতবস্থায় আমি এর বিচার চাই।
জমিটি চাষ করা স্থানীয় কৃষক জসিমউদ্দিন বলেন মোঃ নুরুল ইসলাম জমি খরিদ করার পর থেকে প্রায় ১২ বছর যাবত আমিই চাষ করি। তবে কিছুদিন হয় আঃ রশিদে বাঁশ দিয়া বেড়া দিয়া দখল করে রাখছে।
মোঃ রফিকুল নামে আরেকজন বলেন একই দাগের জমি ও পাশের জমি আমার বিয়াই নুরুল ইসলাম ও আমি খরিদ করি। আঃ রশিদ আমার ও আমার স্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে আমাদের না জানিয়ে খারিজ বাতিল করার চেষ্টা করেছে। পরে আমি এসিল্যান্ড সাহেবেরে কাছে গিয়ে আমাদের স্বাক্ষর নকল করেছে মর্মে চ্যালেঞ্জও করেছি।
অন্যদিকে আঃ রশিদ বলেন এই জমিতে আমি আগেই দখলে ছিলাম। কিন্তু নুরুল ইসলাম আমার জমি দখল করে নেয়। পরে আমি আদালতে মামলা করি। আদালত আমাকে রায় দিয়েছে। আমি আমার জমিতে বেড়া দিয়েছি।