জাকারিয়া আল মামুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার মুলগাঁও গ্রাঁমে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়ে ০৮ বছরের এক শিশু ধর্ষন এর চেষ্টা করে।
শনিবার (২৭ শে মে) দুপুর ১-২ টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রান এর ২ নং গেইটের কাছের তামিমা ফ্যাশন হাউজ নামের একটি দোকানে এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষণের চেষ্টা করা ০৮ বছরের শিশুটি পিতা রকমান (শ্রমিক), এবং মা রত্না (আর এফ এলের শ্রমিক) এর বড় মেয়ে মাহিয়া তানহা।
এঘটনায় ধর্ষক নায়ক বাচ্চু ( চাই বাচ্চু) পালত রয়েছে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায় ধর্ষক বাচ্চু কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শাজাহান হুজুরের বাড়ির পাশে মধ্য নারগানা গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিন এর ছেলে। সে প্রায়় ৩০ বছর ধরে মুলগাঁও প্রান-আরএফএল গেইট এলাকায় যায়গা ক্রয় করে বাড়ি ও মুদি দোকানদার হিসেবে বসবাস করে আসছে।
তানহার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক বাচ্চু ও ধর্ষণের চেষ্টা হওয়া শিশুটি একই এলাকায় বসবাস করত।
শনিবার দুপুর প্রায় ১-২টার দিকে ওই শিশু মেয়েটি বাচ্চুর দোকানের(তামিমা ফ্যাশন হাউজ) সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মজা খাওয়াবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চু তাকে দোকানে ডেকে নেয়। পরে শাটার নামিয়ে থাই গ্লাস বন্ধ করে শিশু মেয়েটিকে ঘরের মেঝেতে ফেলে হাফ পেন্ট খুলে ধর্ষণ এর চেষ্টা করে এমনটাই বলে তানহা। এসময় শিশু মেয়েটির চাচি রত্না দেকানে হজ্বের ফাকি নিতে আসে, এসে দেখে মাহিয়া তানহার সথে ঝোরাঝুরি করতেছে বাচ্চু। এ সময় রত্না বাচ্চু কে বলে আপনি কি করতেছেন চাচা এসব। সে তো ছোট্ট একটা শিশু। এই কাজ আপনি কিভাবে করতে পারলেন তার সাথে। রত্নার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এই সুযোগে দোকান খালি রেখে বাচ্চু পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
শিশুটির মা তাকে নিয়ে গাজীপুর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরত আসেন। তানহার এ দুর্ঘটনার খবর শুনে তার দাদা স্ট্রোক করে মারা যান বলে পরিবারের দাবি।
মেয়েটির মা রত্না এবং স্থানীয় লোকজনের দাবি এ নেককারজনক ঘটনার জন্য বাচ্চুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।
বাচ্চুর মেয়ে তামিমা ফ্যাশন হাউজের মালিক জাকিয়া সুলতানা এবং ছেলে এবাদুল্লার সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের মা মারা যাওয়ার পরে তার বাবাকে তারা তিনটি বিয়ে তার বাবার চরিত্রের সমস্যার জন্য তারা সবাই চলে যায়। ঘটনার দিন জাকিয়া তার বাবা বাচ্চুকে দোকানে রেখে দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় যায় এবং তিনটার দিকে দোকানে আসে এসে জানতে পারে তার বাবা ৮ বছরের শিশু মেয়েটি তানহার সাথে নর পশুর মত আচরণ করে। তারাও বাবার এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য শাস্তি দাবি করছেন। ঘটনার পর শনিবার বিকাল থেকেই তাদের বাবা বাচ্চু পালাতক রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফায়েজুর রহমান বলেন ঘটনার সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণের ব্যবস্থা করি পরবর্তীতে তাজউদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করলে আমাদের দুই অফিসার সহ সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়াই। ডাক্তারদের সাথে কথা বলি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানান, ভালো আছে, জাস্ট জেন্ডার বেস্ট বায়োলেন্স, তথাপিও আমরা ভিকটিম কে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে ভিকটিম সহ তার পরিবারকে অভিযোগ দেওয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসি কিন্তু ভিকটিমের দাদা মারা যাওয়ার সংবাদ শুনে তারা দ্রুত বাড়িতে চলে যায় আমরা পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছি।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির হোসেন বলেন বাচ্চুকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হোক।