রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আবারও বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটিতে অভিযানরত রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১ জন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর উমানে ১০ আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এতে এক শিশুসহ ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
পাল্টা আক্রমণের আগেই রুশ হামলা?
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সেই রেজনিকফ বলছেন, রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শানানোর জন্যে তাদের প্রস্তুতি যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে, তখনই এই হামলা চালাল রুশ সেনার।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর মহাসচিব জিনস স্টলটেনবার্গ সম্প্রতি বেলজিয়ামে ন্যাটোর সদর দপ্তরে বলেছেন , ন্যাটো ইউক্রেনকে যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার ৯৮ শতাংশই কিয়েভকে সরবরাহ করা হয়েছে।
ন্যাটোর দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং প্রচুর গোলাবারুদ। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র দিয়ে রুশ সৈন্যদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সর্বশেষ এই আক্রমণ থেকে আবারও প্রমাণ হচ্ছে যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। রাশিয়ার এই আক্রমণকে ‘বর্বরোচিত’ উল্লেখ করে শুক্রবার এক টুইটবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘অশুভ শক্তিকে অস্ত্র দিয়ে থামানো সম্ভব। আমাদের রক্ষাকারীরা সেটা করছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও একে থামানো যাবে—আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়াতে হবে।’
ঠিক কী কারণে রাশিয়া শুক্রবার এই হামলা চালালো তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে এর আগেও মস্কো ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করেছে।
মস্কো বলেছে ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনী বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না; তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের রুশ সেনারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন ইউক্রেনে।