গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে সিটির ৩১ নং ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম পূর্ব বাজারস্থ সাঈদ মার্কেটের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থী আলমাছ মোল্লা ও তার সমর্থকদের উপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ, সদর মেট্রো থানার সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিকু গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ওই দিন রাত ১০ টার দিকে জিকুসহ ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আলমাছ মোল্লা এবং তার সমর্থকরা ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করছিলেন। এমন সময় ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রফিকুজ্জামান ও তার ছেলে মোঃ জান্নাতসহ তাদের সঙ্গীয় অন্যান্যরা অতর্কিতভাবে আলমাছ মোল্লার লোকজনের উপর হামলা করে। তাতে আলমাছ মোল্লার নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম জিকু গুরুতরভাবে আহত হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা চলে গেলে লোকজন জিকুকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলায় আহত জিকু এই প্রতিবেদককে বলেন- আমি ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আলমাছ মোল্লা সাথে উনার নির্বাচনী প্রচারণায় ধীরাশ্রম পূর্ব বাজারে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করছিলাম। এমতাবস্থায় কোন কিছু বোঝে উঠার আগেই ওই ওয়ার্ডেরই সাবেক কাউন্সিলর এবং বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রফিকুজ্জামান, রফিকুজ্জামানের ছেলে জান্নাত এবং ইকবাল ও তার দলবল পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাদের হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে ইকবাল তার সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।
এবিষয়ে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমাছ মোল্লা বলেন- আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী তার সাথে গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী শ্রমিকলীগের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও আমি ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমার কর্মী ও সমর্থকদের উপর প্রতিপক্ষের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের নিকট এই নৃশংস হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। তিনি আরো বলেন- এই হামলার পর থেকে আমি আমার জীবন নিয়ে সংশয় বোধ করছি, প্রতিপক্ষের লালিত সন্ত্রাসীরা যেকোন সময় আমাকে খুন/জখম অথবা গুম করে ফেলতে পারে।
এ ঘটনায় আহত জিকুর বড় ভাই মোঃ আমজাদ হোসেন জিএমপি সদর থানায় কাউন্সিলর প্রার্থী রফিকুজ্জামানকে প্রধান আসামী করে জান্নাত, ইকবাল হোসেন ও মোঃ সাইফুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জিএমপি সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন- আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।