মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার: ঈদুল ফিতরের টানা পাঁচ দিনের ছুটিকে ঘিরে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা ভাসছেন ছুটির আমেজে।
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা, রমনা পার্ক, উত্তরার দিয়াবাড়ির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ, হাতিরঝিলের নয়নাভিরাম দৃশ্য, সবুজের সমারোহ ও পাখির কলতানে মুখর বোটানিক্যাল গার্ডেন, শিশুপার্কগুলো নানা বয়সী মানুষের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।
আজ রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হরিণ, ময়ূর, বানর, সাপ, নানারকম পাখি ও জলহস্তীসহ বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মিরপুর-১৪ থেকে পরিবার নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন আব্দুল বাসেদ।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে, চিড়িয়াখানার এরিয়া অনেক বড় হওয়ায় সবটুকু ঘুরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। পা ব্যথা করছে। প্রচণ্ড রোদ-গরমে শিশু বাচ্চাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখালাম। চিড়িয়াখানার পরিবেশটা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
সাজিদ ইসলাম মাশফি নামে এক শিশু জানান, আব্বু আম্মুর সাথে বেড়াতে এসেছি ।পার্কে গিয়ে রাইডে উঠেছি অনেক পশু পাখি দেখেছি খুব ভালো লেগেছে ।
সিরাজগঞ্জ থেকে আগত স্বপ্না পারভীন নামে আর একজন বললেন অন্য কথা ।তিনি বলেন, এত বড় জায়গায় চিড়িয়াখানা ভাবা জায়না । সকাল থেকে ঘুরেও শেষ করতে পারিনি ।পা খুব ব্যাথা হয়ে গেছে ।
চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, সাধারণত শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন চিড়িয়াখানায় ২০ থেকে ৩০ হাজার দর্শনার্থী ভেতরে প্রবেশ করে থাকে। আজ ঈদের পর দিন- সেই হিসেবে ৭০ থেকে ৮০ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি আরও জানান, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কাল ও পরশু দর্শনার্থীর চাপ আরও বেশি হবে। এ জন্য, বিশেষ কারণ ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি।