গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তার পদে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৬২ জন কাউন্সিলর।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে এ চিঠি জমা দেওয়া হয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায় জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশ কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর ও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কিন্তু বিগত ১৫ মাসে করপোরেশনের প্যানেল মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতা বর্তমানে চরমসীমায় পৌঁছে গেছে। যার ফলস্বরূপ গাজীপুর সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
‘নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উন্নয়নের যে ধারা চালু করেছিলেন বর্তমান প্যানেল মেয়রের সমন্বয়হীনতা ও জনগণের চেয়ে নিজের উন্নয়নে অধিক মনোযোগী হওয়ার কারণে আজ তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এর ফলে লাখ লাখ সাধারণ জনগণ গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্য সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। কার্যত সিটি করপোরেশন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে সরকার ও দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে হাইকোর্টে প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দ্বৈত নাগরিকতাসহ ২১টি বিষয় নিয়ে রিট দাখিল হয়। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দুদককে তদন্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায় আমরা আপনার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি উন্নয়নের চাকা সচল রাখার সংগ্রামে শরিক হওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়রের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে অডিওতে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপত্তিকর কটূক্তি করতে শোনা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।