মারুফ সরকার, স্টাফ রির্পোটার:
সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন মোঃ শাহ আলম চৌকিদার ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাই, মলমপার্টির সক্রির সদস্য জুয়ার বোর্ড বসিয়ে পাহারা দেওয়া সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে বাবা ছেলেদের বিরুদ্ধে।
শাহ আলম পেশায় একজন গ্রাম্য পোহরি চৌকিদার।মাদকসেবন অবস্থায় দায়িত্ব পালন করেন বলে ও অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন ।গ্রামবাসী অনেকে আরো অভিযোগ করেন শাহ আলম প্রায় সময় নেশাগ্রস্থ থাকেন নেশা করা অবস্থা দায়িত্ব পালন করা কালিন অনেকের বাসা বাড়ি থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যান।
সুধু তাই নয় শাহআলম ও তার বড় ছেলে সোহেল মিয়া মলমপার্টির সক্রির সদস্য হিসেবে এলাকার সকলের জানা বেশ কয়েকবার গনদোলাই খেয়ে কারাবাস করতে হয়েছে তার বড় ছেলে সোহেল মিয়াকে সর্বশেষ ডিএমপি রাজধানী চুরি ছিনতাই, ডাকাতি, মলমপার্টির অত্যাচার থেকে সাধারন মানুষকে বাঁচাতে সারা শহর জুঁড়ে সাঁড়াসি অভিযান চালায় তখন শাহআলমের বড় ছেলে সহ মলমপার্টির বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য সহ মোঃ সোহেল মিয়া শাহবাগ থানাধীন এলাকা থেকে গত ৮ জুন ২২ ইং তারিখে গ্রেফতার হয় দীর্ঘ ২ মাস কারাবাস করেও বন্ধ করেনি ছুরি ছিনতাই ও প্রতারনা প্রতিনিয়ত বাবার পথে হাঁটছেন প্রতারক সোহেল মিয়া ।
অন্য দিকে শাহআলমের ছোট ছেলে জুয়েল মিয়া,নিজে মাদকসেবন করেন ও এলাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র যুবকের কাছে মাদক বিক্রি করেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে ।এছাড়া ও এলাকায় প্রতিনিয়ত নিজে জুয়া খেলে ও জুয়ার আসর বসিয়ে টাকা পয়সা তুলে লাফাত্তা হয়ে যায় সে।
পুরো এলাকা জুড়ে তাদের এমন আচার আচরনে ক্ষুব্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী। বাপ-ছেলে মিলে পুরো সমাজটা’কে নরকে পরিনত করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার স্থানীয় এলাকাবাসী গণ-স্বাক্ষর সহ থানায় ও স্থানীয় বোর্ড অফিসে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যানের আবুল হাশেম বিচারিক আদালতে বিচার করলেও পরভর্তিতে আবার ও সক্রিয় হয়ে উঠেন চৌকিদার শাহ আলম ও তার দুই ছেলে।
শাহ আলমের বিরুদ্ধে নিজে মাদকসেবন করা মাদক ব্যবসা করা ও মাদক কারবারীদের সাথে হাত রেখে এলাকায় মাদক ছড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ করে স্থানীয় অনেকে।
প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায় এবং সে নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে ও দাবী করেন।
বেশ কয়েকবার হাতেনাতে ধরার পরও তাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলে থাকেন পুলিশের কাজের জন্য পাহারা দিয়ে থাকেন ।
তাদের বিষয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন ঐ ধরনের কোনো বিষয়ে তাকে পারমিশন দেওয়া হয়নি।এই নিয়ে তাদের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পর সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম সাহেবের মাধ্যমে তাকে শাসানো এবং গ্রামবাসীর কাছে মাফ চাওয়া হয় অঙ্গীকার দিয়ে সে অঙ্গিকার রাখে নি শাহআলম চৌকিদার।
সর্বপরি শাহআলম চৌকিদার ও তার দুই ছেলেকে দ্রুত এলাকা থেকে অপ্রসারন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।