ফরিদ উজ জামান
জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে কখনো শাসক মনে করেন না। তিনি কখনো বলেন না আমি শাসক। বিশ্ব ব্যাংক যখন পদ্মা সেতু করতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমি এদেশের টাকায় পদ্মা সেতু করব বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব বাঙালিরা কারো দারোস্ত হয় না। তিনি সেটা করে দেখিয়েছেন। শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি (বাদলেস)’র পঞ্চবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক এমপি।
আইন মন্ত্রী এড. আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার এদেশে দলিল লেখকসহ সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেছে। পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশেকে উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আইন মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। বাংলাদেশশে মেট্রো রেল, কর্ণফুলি ট্রাণেল ও পদ্মাসেতু বর্তমান সরকারেরই উন্নয়নের ফসল। এদেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই। তাই এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আবারও এ সরকারকে ক্ষমতার আনার আহবান জানান তিনি।
দলিল লেখকদের দাবীর বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, এপর্যন্ত দলিল লেখকদের কোন দাবী অপূর্ণ থাকেনি। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কল্যানের সরকার তাই আজকের এই দাবীগুলোর মধ্যে যুক্তিসঙ্গত কোন দাবীই অপূর্ণ থাকবে না।
“দলিল লেখক জনতা গড়ে তোল একতা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি (বাদলেস) এর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে শত শত দলিল লেখক শনিবার ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছুটে আসেন।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করে সম্মেলনে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক এমপি। এসময় সংগঠণের পতাকা উত্তোলণের পতাকা করেন বাদলেস’র সভাপতি মো. নূর আলম ভূঁইয়া। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের সফলতা কামনা করা হয়।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত সম্মেলনের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিলর অধিবেশন। এ অধিবেশনে বাংলাদেশ দলিল লেখকসহ বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা সভাপতি নূর আলম ভূঁইয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জোবায়ের আহমেদ।
আলোচনা পর্ব শেষে সেলিম রেজার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি গঠণ করা হয়। এ তৃণমূলের দলিল লেখকদের মতামতের ভিত্তিতে স্টিয়ারিং কমিটি পূণরায় নুর আলম ভইয়াকে সভাপতি এবং জুবায়ের আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক তাদের নাম ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সুযোগ্য সভাপতি নূর আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, সিলেট-৩ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হাবিবুর রহমান হাবীব এমপি।
সম্মেলনের পরিচালনা করেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ।
সম্মেলনে বাংলাদেশ দলিল লেখকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এভ. আনিসুল হক এমপি’র কাছে সাধারণ দলিল লেখকদের উন্নয়নের স্বার্থে ১২ টি দাবী পেশ করা হয়। পাশাপাশি দাবীগুলো পাঠ করে শুনান বাদলেস’র সভাপতি মো. নূর আলম ভূঁইয়া।
এর আগে সভাপতি মো. নুর আলম জন্মস্থান নরসিংদী থেকে পদ্ম শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাস প্রাইভেট কারসহ দলিল লেখকরা তাদের প্রিয় নেতা তাদের অভিভাবক কে সভাপতি পদে সমর্থন করতে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ছুটে আসেন জেলার দলিল লেখকরা।