সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
গাজীপুরে ৬ দফা দাবিতে ইউনিলিভার শ্রমিকদের মানববন্ধন  কাপাসিয়ায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গনে মুচি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের পথে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের ৩জনকে অর্থদণ্ড গাজীপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির মতবিনিময় সভা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী মাধবদীতে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারকে অনুদান প্রদান বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির মতবিনিময় সভা তিতুমীরস্থ পিরোজপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা, আবু বকর সভাপতি, হেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক এবং মেহেদী হাসান সাংগঠনিক সম্পাদক  কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের রেমিট্যান্সের জোয়ার! রিজার্ভের পালে হাওয়া

অর্থ সংকট : মন্ত্রী- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমাচ্ছে পাকিস্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ৪২ বার পঠিত
প্রকাশিত : বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:১৭ অপরাহ্ণ

অর্থ সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও সংস্কার বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল অস্টারিটি কমিটির (এনএসি) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।

জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এনএসির নতুন প্রস্তাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন ১৫ শতাংশ কমানো এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানো এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসংখ্যা ৭৮ জন।

ন্যাশনাল অস্টারিটি কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সুতরাং এই কমিটির সুপারিশগুলো যে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে— তাতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।  জিও টিভি জানিয়েছে, প্রস্তাবনাটি এখনও খসড়া আকারে আছে; বুধবারই সেটি চুড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।

দশকের পর দশক ধরে সামরিক শাসন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে গত কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সংকট যাচ্ছে পাকিস্তানে। এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে।

পাকিস্তানের বর্তমান এই সংকটের মূল কারণ ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়া। একটি দেশের ন্যূনতম অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকতে হয়। পাকিস্তানের রিজার্ভে যে পরিমাণ ডলার বর্তমানে আছে, তা দিয়ে বড়জোর কয়েক সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দেশটির অর্থনীতি বাঁচাতে জরুরি ঋণ সহায়তার আবেদন করেছিল গত বছর। সেই আবেদন সপ্তম ও অষ্টমবার পর্যালোচনা শেষে দেশটিকে এখন পর্যন্ত ১১০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। সেই সঙ্গে পাকিস্তান সরকারকে কিছু শর্তও দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।

অর্থনৈতিক সংকটে মরিয়া পাকিস্তান এখন অপেক্ষা করছে আইএমএফের নবম পর্যালোচনার জন্য। সেই পর্যালোচনার ওপরই নির্ভর করছে, প্রয়োজনীয় ৬৫০ ডলারের ঋণ দেশটি পাবে কিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :


এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর