চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, আপনারা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহা. জিয়াউর রহমানকে ভোট দেবেন। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। আমরা নৌকার পক্ষ থেকে সকলের কাছে ভোট চাই। আমাদের এই এলাকার উন্নয়ন করতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই আসন উপহার দিতে হবে। সারাদেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদের এলাকা কেন পিছিয়ে থাকবে?
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার রাজবাড়িহাট বাজারে নৌকা প্রতীকের পক্ষে এক পথসভায় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মাহিয়া মাহি আরও বলেন, শুধুমাত্র যোগাযোগের সমস্যা ও সমন্বয়ের অভাবে আমাদের এই এলাকা অনেক পিছিয়ে আছে। আমাদের এলাকা আরও উন্নত হওয়ার কথা, যেখানে সারা বাংলাদেশ এতো উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। ঢাকা শহর ছাড়াও সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে আমাদের এলাকা কেন পিছিয়ে থাকবে?
তিনি বলেন, এই উন্নয়নের পেছনে আপনাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সেটা কিভাবে? সেটা হলো, সবাই মিলে নৌকায় ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। কারণ তিনি আমাদের হয়ে উন্নয়নকাজ করবেন, সংসদে এই এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। আমাদের হয়ে রাস্তাঘাটের কাজ করবেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করবেন, ভালো হাসপাতাল করে দেবেন। আমাদের এখান থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য যে ট্রেন বন্ধ রয়েছে, সেটা চালুর ব্যবস্থা করবেন।
এর আগে মাহিয়া মাহি নাচোল উপজেলার রাজবাড়িহাট বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহা. জিয়াউর রহমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। এছাড়াও সন্ধ্যার পরে নাচোল উপজেলার বাঘাইড়পাড়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় ভোট চেয়ে জনসংযোগ করেন মাহি। এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়িকা মাহির স্বামী আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ( নাচোল ,গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে বিএনপি দলীয় সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরের দিন জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ফলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন কমিশন দেশের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করে ১ ফেব্রুয়ারি।