নিউজ ডেষ্কঃ কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার একটি কক্ষ থেকে আবু সুফিয়ান শান্ত (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত করেছে পুলিশ। তবে ঝুলন্তে থাকা ছবি দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবু সুফিয়ান শান্ত খলাপাড়া এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে। সে মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মকতব বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এশার আযানের পর শিক্ষার্থীরা নামাজে যেতে তাদের কক্ষ থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়। নামাজ শেষে ফিরে এসে অন্য শিক্ষার্থীরা কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। পরে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শান্ত ঝুঁলে রয়েছে। ওই কক্ষে থাকা লোহার এঙ্গেলের (আড়ার) সঙ্গে গলায় লাইলনের রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুঁলে ছিল শান্ত। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা বলেন, ছবিতে দেখা যাচ্ছে লোহার যে এঙ্গেলের সঙ্গে গলায় ফাঁস হয়েছে তা শান্তর একার পক্ষে লাগানো প্রায় অসম্ভব। এছাড়াও নিহতের পায়ের চতুর্দিকে কোন চেয়ার বা টেবিলে নেই। তাহলে সে কি করে উঁচুতে উঠে গলায় ফাঁস লাগাতে পারে?
মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুপার মাওলানা আবু হানিফের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল হক বলেন, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।