সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
গাজীপুরে ৬ দফা দাবিতে ইউনিলিভার শ্রমিকদের মানববন্ধন  কাপাসিয়ায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গনে মুচি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের পথে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের ৩জনকে অর্থদণ্ড গাজীপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির মতবিনিময় সভা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী মাধবদীতে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারকে অনুদান প্রদান বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির মতবিনিময় সভা তিতুমীরস্থ পিরোজপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা, আবু বকর সভাপতি, হেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক এবং মেহেদী হাসান সাংগঠনিক সম্পাদক  কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের রেমিট্যান্সের জোয়ার! রিজার্ভের পালে হাওয়া

ধনীদের হাতে ৭০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭২ বার পঠিত
প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:২৬ অপরাহ্ণ

নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সঞ্চয়পত্রে উচ্চ সুদ দিচ্ছে সরকার। জনগণের করের টাকায় দেওয়া এই সুদের সিংহ ভাগই খাচ্ছেন উচ্চবিত্ত ও ধনীরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) পিআরআই’র কার্যালয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. এম আব্দুর রাজ্জাক। এসময় ড. জায়েদি সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এম এস রাশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের মূল সুবিধাভোগী একটি শক্তিশালী গ্রুপ। তাদের কারণেই সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো সম্ভব হয় না। আমাদের একটা গবেষণায় দেখেছি ৭০ শতাংশের বেশি সঞ্চয়পত্র কেনেন ধনীরা। যতদিন সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদের হার থাকবে ততদিন বন্ড মার্কেট ডেভেলপ করবে না।

কর-জিডিপি’র হার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, কর-জিডিপির রেশিও দিন দিন কমছে। আগামীতে আরও কমবে। কর-জিডিপির রেশিও ১২ শতাংশ থেকে কম সাড়ে ৭ শতাংশ হয়ে গেছে।

এজন্য উচ্চ হারে সুদ দিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা উচিত নয় বলে অভিমত দিচ্ছে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সঞ্চয়পত্রের মূল সুবিধাভোগী একটি শক্তিশালী গ্রুপ। তারাই মূলত সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমাতে দেয় না।

এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার যে রাজস্ব আয় করে তার ২০ শতাংশই সুদ পরিশোধের জন্য ব্যয় করতে হয়। সরকারের এই সুদ ব্যয় কমাতে হলে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমাতে হবে। উচ্চ হারে সুদ দিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। সঞ্চয়পত্র দিয়ে বড় লোকদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সঞ্চয়পত্রের বদলে অন্য জায়গায় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত।

অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এম এ রাজ্জাক বলেন, আমাদের বাজেটের আকার মূলত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদনের)-এর ১৩ শতাংশের মতো। অর্থাৎ সরকার ব্যয় করে ১৩ শতাংশের মতো। অথচ পৃথিবীর গরিব দেশগুলোতেও গড়ে জিডিপির ২৪-২৫ শতাংশ ব্যয় করে সরকার। সরকারের ব্যয় বাড়াতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়তে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :


এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর