বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের রেয়াতযোগ্য আইডিএ তহবিল থেকে সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে ১৯৭২ সাল থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান সহায়তা পেয়েছি বিশ্বব্যাংক থেকে। যার মধ্যে ২৬.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত সুদ ও আসল মিলে ৬.৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২০২৭ অর্থবছরের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তুত করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং ডেল্টা প্ল্যান এবং অন্যান্য সরকারি মহাপরিকল্পনা, সেক্টরাল প্ল্যান এবং নীতিগুলির সাথে কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কে যুক্ত করার অনুরোধ করেন মুস্তফা কামাল।
পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের অনুরোধে ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২২ সময়ে ১ বিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পেয়েছি। চলতি অর্থবছরে আরও ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আর আগামী ২ অর্থবছরে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।
দ্বিপক্ষীয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং রিজিয়নাল ডিরেক্টর গুয়াংজে চেন ও ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন।