কালিগঞ্জ, জামালপুর, পলাশ সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বাঁধা কপি, ফুলকপি (ছোট) ৫০ টাকা পিস, টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা কেজি, ঢেড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ঝিঙ্গার প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া গেলে একমাত্র পেঁপেই। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
গাজীপুর কাঁচা বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মুক্তাদির হোসেন। বিক্রেতার সাথে সবজির দামাদামি করার সময় তার চোখে-মুখে এক ধরনের অসহায়ত্ব ফুটে উঠছিল। কারণ বাজারের এই ঊর্ধ্বগতির সাথে তিনি পেরে উঠছেন না।
কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই বাজারে কম টাকার মধ্যে কিছুই কেনা যায় না। এমন কোনো জিনিস নেই বাজারে যার দাম বাড়তি না। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় ভার বহন করে টিকে থাকাই কঠিন। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। যেটার দাম করি সেটাই ৫০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া শিম, শসা তো ১০০ আর টমেটো ১৪০ টাকা। বাজারে গরিবের সবজি বলতে শুধু পেঁপে আছে, যার দাম ৩০/৪০ টাকা। তাহলে বলেন আমরা খাবো কী?
সবজি বিক্রেতা ফরিদ বলছেন, আসলেই বাজার বাড়তি যাচ্ছে। পাইকারি বাজারেও প্রতিটি জিনিস আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর আমাদের তা পরিবহনে করে এনে শ্রমিক দিয়ে নামাতে হয়। ফলে এর দাম আরও বেশি পড়ে যায়, এছাড়া পাইকারি বাজার, এই বাজার সব মিলিয়ে একটা লাইন ফি দিতে হয়। সব মিলিয়ে ক্রেতা পর্যায়ে আসতে একটা পণ্যের দাম বেড়ে যায়। মৌসুম শেষের দিকে তাই বর্তমান বাজার একটু বাড়তি যাচ্ছে।
নরসিংদীর পলাশ এলাকার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সামাদ মৃধা বলেন, আগের ফলনের বেশিরভাগ ফসলের শেষ চালানের মাল এগুলো। শীত আসলে সব নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। তাই সবজির দাম আসতে শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নতুন সবজি আসার পর বাজার কমতে ২/৩ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।