ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল করবে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের ‘প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রদলের ওপর হামলায় জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে অবিলম্বে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেন শ্রাবণ।
ছাত্রদল সভাপতির দাবি, হামলায় ছাত্রদলের আহত ১৫ জনের তালিকা পেয়েছি, তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অস্ত্র প্রশিক্ষণের জোন হয়ে গেছে।
শ্রাবণ বলেন, প্রক্টর স্যার আমাদের জানিয়েছেন যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটি দেখা করতে আসে, আমি আশ্বাস দিচ্ছি ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে কিছুই করবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি আসবে আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে। তবে আমরা দুপুর থেকে খবর পাচ্ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ইন্ধনে হামলা হতে পারে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কেও জানিয়েছি দুপুর থেকে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। তারপরও ভিসি স্যার আমাদের অনুমতি দিলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি ফুল ও মিষ্টি নিয়ে। আমরা পূর্ব নির্ধারিত সময় নিয়েই সাক্ষাৎ করতে যাই। কিন্তু মিডিয়ার সামনেই ছাত্রলীগ আমাদের নেতাকর্মীদের রড, দা, চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালায়
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এখানে নির্বিঘ্নে, নিরাপদভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা আমাদের অধিকার। এ অধিকার আমরা কারও কাছে সমর্পণ করিনি। অচিরেই ছাত্রদল আবারও ক্যাম্পাসে যাবে। একইসঙ্গে এটাও বলে রাখতে চাই, আমাদের সহযোদ্ধাদের প্রতি ফোঁটা রক্তবিন্দুর জবাব অবশ্যই দিতে হবে। প্রতিজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হবে।