বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে ধাক্কা দেওয়া সেই কার্গো জাহাজটিকে সুকানি ও মাস্টারসহ আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোংলা থেকে এমভি জামান-২ নামে কার্গো জাহাজটি আটক করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান।
গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে একটি মালবোঝাই কার্গো জাহাজ দ্রুত গতিতে সেতুর পিলারের দিকে এগিয়ে আসছে। এ সময় সেতুর উপরে থাকা লোকজন চিৎকার দিয়ে কার্গো জাহাজকে সতর্ক হতে বলছে। কার্গোটি সরাসরি এসে সেতুর ৫ নম্বর পিলারে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর কার্গোটি দ্রুত চালিয়ে চলে যান চালক।
অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটির অবস্থান সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নে।
এদিকে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেয়ার প্রজিত হালদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় জাহাজের সুকানি ও মাস্টারকে আসামি করে মামলা করেন। পরে তাদের বিকেলে মোংলা বন্দর থেকে আটক করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হলে বিকেলে মোংলা থেকে সেতুতে ধাক্কা দেওয়া এমভি জামান-২ নামে কার্গো জাহাজটি আটক করা হয়। এ সময় জাহাজের সুকানি ও মাস্টারকে মোংলা থেকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিবাগত রাতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চিন মৈত্রী সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয় এমভি জামান-২ নামের কার্গো জাহাজটি।