আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ডাকে এর সদস্য দেশগুলোয় প্রতিবছরের ৮ সেপ্টেম্বরে এ দিবসটি উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশেও এ উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ট্রান্সফর্মিং লিটারেসি লার্নিং স্পেসেস’ (সাক্ষরতা শেখার স্থান পরিবর্তন করা)।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে ১৩ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাণীতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে। বিনামূল্যে বই বিতরণের পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মহাখালীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
এছাড়া দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউনেসকোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দিবসটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।